ফ্রিলেন্সিং বা মুক্তপেশা


ফ্রিলান্সিং ইংরেজি শব্দ যার বাংলা প্রতিশব্দ মুক্ত-পেশা। আরো সহজভাবে বলা যায়, একজন ফ্রিলান্সার হচ্ছে আত্ম-কর্মশীল, যে কোন নির্দিষ্ট কর্মদাতার অধীনে দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করে না। এরা সল্প সময়ের জন্য বিভিন্ন কম্পানি, এজেন্সিতে নিজেদের নিযুক্ত করে শ্রম দেয়। ফুল টাইম অথবা পার্ট যেকোনো ভাবেই সে পেশটাকে নিতে পারে। আর প্রজেক্ট ও ঘণ্টা এই দুইভাবে কাজ করে এরা। যেকোনো জায়গাতে বসেই এরা কাজ করতে পারে। হউক সেটা নিজের ঘর অথবা ফুটবল এর মাঠ। ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গৃহিণী,বেকার সহ যেকোনো কাজের পাশাপাশি যে কেউ ফ্রিলান্স পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। অথবা যারা অল্পও  পড়াশুনা শেষ করে চাকুরির জন্য চেষ্টা করছেন এরাও এই পেশাটাকে বেছে নিতে পারেন। নতুন বলতে শুধুমাত্র নতুন প্রজন্মকে বলা হচ্ছে না, হতে পারে সে ৪৫ বছরের একজন সরকারি চাকুরীজীবী অথবা ২৫ বছরের গৃহিণী।


নতুনদের ফ্রিলান্স পেশায় আসা উচিতঃ

আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা হতে পারে অন্যতম কারণ যার জন্য নতুনদের এই পেশায় আসা উচিত বলে আমি মনে করি। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, দিন দিন আমাদের দেশে বেকারত্বের প্রভাব বেড়েই চলেছে। শিক্ষিত জনশক্তি গোষ্ঠী বাড়ছে প্রতিবছরই কিন্তু কর্ম-সংস্থান বাড়ছে না সেই ভাবে। তাই অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষগুলোকে বয়ে বেড়াতে হয় বেকারত্বের বোঝা। যেখানে গতানুগতিক চাকুরির বাজার সঙ্কীর্ণ সেখানে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং পেশা হতে পারে দেশের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার অন্যতম চালিকাশক্তি। আবার যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন তারাও দিনের কিছুটা সময় কাজ করে আয়ের আরেকটি মাধ্যম হিসেবে ফ্রিলান্সিং পেশাকে বেছে নিতে পারেন।

নতুনরা যেভাবে ফ্রিলাসিং এ আসতে পারেঃ

গত কয়েক বছরে ফ্রিলান্সিং আমরা যে হারে এগিয়েছি তাতে বলার অপেক্ষা রাখেনা যে এই পেশার ভবিষ্যৎ আশাব্যঞ্জক। আর এর ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরেই বর্তমান সরকার অনলাইনে ফ্রিলান্সিং পেশায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, MOCICT উদ্যোগে এন্ড্রোয়েড এপস ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ। যেখানে কিভাবে এন্ডোয়েড মোবাইলের এপস বানানো যায় তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ, প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের উদ্যোগে লার্নিং এন্ড আরনিং প্রশিক্ষণ। এখানে বহুবিধ কাজ শেখানো হছে। যেমন, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, এসইও সহ আরো বিভিন্ন রকমের কাজ যা করে যে কেউ ফ্রিলান্স করতে পারবে। যেখানে বিভিন্ন মেয়াদে সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যে ট্রেনিং এবং সরাসরি অনলাইনে কাজ করে কিভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায় সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে। তাই নতুনরা প্রাথমিকভাবে এর মাধ্যমে কাজ শিখতে পারে।

কাজ শেখা ও কাজ করাঃ

নতুনদের মাঝে প্রায়ই একটা প্রশ্ন কাজ করে আর সেটা হল কি কাজ শিখবো আর কিভাবে কাজ করবো? কোন ট্রেনিং সেন্টারে ভাল হবে? আরও অনেক প্রশ্ন...।

আমার মতে শুরু তে ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়া উচিত হবে না। আগে জেনে নিন অনলাইনে কি কি কাজ করা যায়, ঠিক করেন আপনি কোন কাজ করবেন? সেই বিষয়ে প্রচুর জানুন। আবার ভাবুন আপনি কি সেই কাজের জন্য যোগ্য? এখন ভাবছেন কিভাবে জানবেন?

বড়রা সব সময় এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন Google. আমিও তাই বলছি। আপনার মনে যা প্রশ্ন আসে আপনি নিশ্চিন্তে গুগলের সার্চ বক্সে লিখে দিন। বিশ্বাস করুন আপনি বেশি বৈকি কম শিখবেন না।

অনেকেই বলেন গুগল সার্চ করে ভাল কিছু পাচ্ছেন না। হ্যাঁ হয়তো আপনি ঠিকভাবে সার্চ করতে পারছেন না কিন্তু তাই বলে থেমে থাকবেন না কারণ এডভান্স গুগল সার্চ করা অভিজ্ঞতার বিষয়। কয়েকদিন ভাল ভাবে সার্চ করতে করতে দেখবেন আপনি খুব ভাল সার্চ রেজাল্ট পাচ্ছেন। দরকার পড়লে কিভাবে এডভান্স সার্চ করতে হয় এটাও গুগল থেকে জেনে নিন।
আপনি অনলাইনে ফ্রিলেন্সিং করার যোগ্য কি না এবং ক ক যোগ্যতা লাগবে তা জানুন আমার আগামি পোস্ট

Popular Posts